Posts

ভারত ভেঙে তা আজ ১৫ টি আলাদা দেশ (with map)

Image
ভারত সারা বিশ্বে অনেক বড় রাষ্ট্র   ছিল । সময়ের সাথে সাথে ভারত অনেকবার খন্ডিত হয়েছে আর অনেক আলাদা দেশ হয়ে গেছে । এই পৃথিবীতে ভারতই এমন দেশ যেটি ভেঙে ১৫ টি দেশের জন্ম হয়েছে । আজকে অখন্ড ভারত থেকে খন্ডিত হওয়া দেশগুলো সম্পর্কে আলোচনা করবো। লেখাটি বড় হলেও পড়ার অনুরোধ রইলো । ইরান যখন ভারত থেকে আর্যরা ইরানে পৌছে তখন ওখানে বসবাস শুরু করে তখন থেকে এর নাম ইরিয়ানা হয়ে যায় । এরপর আরবীয়রা এখানে আক্রমন করে আর ওখানে ওদের বাসস্থান বানিয়ে নেয় । আর তখন এর নাম ইরান হয়ে গেছিল । কম্বোডিয়া প্রাচীনকালে কম্বোডিয়া নামক ভারতীয় ব্রাক্ষণ    এই দেশে হিন্দু রাজত্ব স্থাপন করেছিল , তখন থেকে এর নাম কম্বোডিয়া হয়েছিল । পরে এটি একটি সতন্ত্র দেশ হয়ে যায় । ভিয়েতনাম এই দেশের নাম আগে চাম্পা ছিল ,এটি ভারতের একটি অঙ্গ ছিল । আঠারোশো পচিশ সালে এখানে হিন্দু রাজত্বের সমাপ্তি ঘটে । একারনে এটিও আস্তে আস্তে আলাদা দেশ হয়ে যায় । মালয়েশিয়া এখানে আগে হিন্দু রাজত্ব ছিল পরে এটি ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা পেয়ে ভারত থেকে আলাদা হয়ে যায় । ইন্দোনেশিয়া এক সময় এটি ভারতের অংশ ছিল ক...

হনুমানের বর্তমান অবস্থান

Image
আজো যখন হিন্দু ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী যোদ্ধাদের নাম নেওয়া হয় , তখন সবচেয়ে প্রথমে হনুমানের কথা মাথায় আসে । হনুমানের অপার শক্তির কোনো সীমা ছিল না । রামায়ণেও হনুমানের অসীম শক্তি ও ভক্তির কথা বলা হয়েছে । হনুমান ভগবান শিবের রুদ্রাবতার ছিলেন । আর রামায়ণেও হনুমান কখোনো তার শক্তিকে উচ্চতর স্তরে প্রয়োগ করেননি ।   যদি তা করতো , তাহলে সে মূহুর্তের মধ্যে লংকার বিনাশ করে দিতো । হনুমান অমরত্বের বরদান প্রাপ্ত ছিল । আর তিনি কলিযুগের শেষ পর্যন্ত এ পৃথিবীতে থাকবেন । কিন্তু আমাদের মনে এ প্রশ্ন আসে যে রামায়ণের পরে হনুমানের কি হলো ? আর এখন হনুমানজি কোথায় ? রামায়ণের পরে মহাভারতেও হনুমানের কথা দুইবার বলা হয়েছে ।  প্রথমবার, যখন ভিম জঙ্গলে ছিল তখন রাস্তা   দিয়ে হাটার সময় দেখলো এক বানর রাস্তায় শুয়ে আছে । ভিম বানরটিকে রাস্তা থেকে সরে যেতে বলল, কিন্তু ঐ বানরটি উত্তর দিল “তুমি আমাকে সরিয়ে দাও , আমার মধ্যে আর তেমন শক্তি অবশিষ্ট নেই” ।  তখন ভিম নিজের পুরো শক্তি প্রয়োগ করেও বানরটির লেজ পর্যন্ত সরাতে পারলো না । তখন ভিম বুঝতে পারলো যে , এটি কোনো সাধারণ বানর না । ভিম এর অনুরোধে বানরটি তা...

আফগানিস্তান আজ হিন্দুশূন্য

Image
এখন আফগানিস্তানের পরিচয় শুধু জঙ্গি ও তালিবানদের নামে হয়ে থাকে ।   কিন্তু কোনো এক সময় এই আফগানিস্তানের পরিচয় হিন্দু রাজ্য হিসেবে হতো , যেখানে আজ একটিও হিন্দু নেই  । আফগানিস্তান ও পাকিস্তান ছাড়া ভারতের ইতিহাস কল্পনা করা যায় না । আফগানিস্তান 7 th century পর্যন্ত অখন্ড ভারতের অংশ ছিল । এটি প্রথমে হিন্দু রাজ্য থেকে বৌদ্ধ রাষ্ট্র হয় , আর এখন এটি একটি ইসলামিক রাষ্ট্র । 7 th century পর্যন্ত আফগানিস্তান নামে কোনো রাষ্ট্র ছিল না । আফগানিস্তান নামের প্রচলন শুরু হয়েছিল ১৭৪৭ – ১৭৭৩ এর মধ্যে ।   এর পূর্বে আফগানিস্তান ARYANA , ARYANAM VIJU , PAKHTIYA KHURASHAN , PASHTOONKHWAH , ROH নামে জানা যেত । এখনও আফগানিস্তানের একটি বড় হোটেলের নাম আরিয়ানা ও ওখানকার একটি এয়ারলান কোম্পানির নাম আরিয়ানা । ধৃতরাষ্ট্রের স্ত্রী গান্ধারির বাসস্থান ছিল আফগানিস্তানে । আজও অনেক বাচ্চার নাম হিন্দু নামে রাখা হয় , যেমন – KAISHK ARYAN VED । মুসলিম শাসকদের অত্যাচারে আর হিন্দুদের একতা ভেঙ্গে যাওয়ায় ওখানে আজ একটা হিন্দুও নেই  ।

সারা পৃথিবীতে হিন্দু রাজত্বের প্রমাণ

Image
এই পৃথিবীতে অনেক ধর্ম রয়েছে । আর পৃথিবীতে বিভিন্ন ধর্মের লোক বাস করে , যাদের আদর্শ পুরোপুরি আলাদা । কিন্তু   এমন এক সময় ছিল যখন সারা পৃথিবীতে হিন্দুদেরই রাজত্ব ছিল । আর এর অসংখ্য প্রমাণ পাওয়া যায় পুরো পৃথিবী জুড়ে । আজ এমন কিছু দেশের নাম আলোচনা করবো যেখানে এখন খুব একটা হিন্দু জনসংখ্যা লক্ষ করা যায় না , কিন্তু এমন অনকে কিছু পাওয়া যায় ,যেগুলো প্রমাণ করে যে সেখানে এক সময় হিন্দুর বসবাস ছিল । চীন – বর্তমানে চীনে তেমন কোনো হিন্দু মন্দির খুজে পাওয়া যায় না । কিন্তু আজ থেকে এক হাজার বছর আগে কোনো এক রাজার দ্বারা ওখানে হিন্দু মন্দির তৈরি হয়েছিল । ইতিহাসবিদরা চীনের সমুদ্রনিকটবর্তী শহর Quanzhou তে প্রায়   এক হাজার বছর পুরাতন হিন্দু মন্দির ও মূর্তির অবশিষ্টাংশ খুজে পায় ।   এ মূর্তিগুলোকে ওখানকার এক জাদুঘরে সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে । ওখানে ভগবান বি নৃসিংহ অবতারের মূর্তি পাওয়া যায় , এছাড়া শিবলিঙ্গ ও হাতির মূর্তিও পাওয়া যায় । ইরাক – ইরাককে আজ মুসলিম দেশ হিসেবে জানা যায় । কিন্তু সত্যি তো এটা যে রাকে আগে হিন্দুদের রাজত্ব ছিল । আগে ইরাকের নাম ছিল MESOPOTAMIA   (মেসোপটামিয়া) । আর ...

মানুষ মারা গেলে হিন্দুরা লাশ পোড়ায় কেনো ?

Image
দাহ নিয়ে মুসলমানদের মুখে এমন টিটকারী শুনেন নি, এমন হিন্দু সম্ভবত একজনও নেই। কারণ, ধর্ম নিয়ে চুলকানো মুসলমানদের স্বভাব। এই চুলকাতে গিয়ে মুসলমানরা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নানা প্রশ্ন করে আপনাকে ক্ষতবিক্ষত করবে, আপনি যদি ঠিকঠাক জবাব দিতে না পারেন, মুসলমানদের কাছে আপনি হেয় হবেন এবং এই সুযোগে বস্তাপচা ইসলামকে তারা শ্রেষ্ঠধর্ম হিসেবে তুলে ধরবে। মুসলমানদের অনেকগুলো প্রশ্নের মধ্যে একটি প্রশ্ন হলো- মারা যাওয়ার পর হিন্দুরা কেনো মৃতদেহ আগুনে পোড়ায় ? এ সম্পর্কে মুসলমানদের প্রশ্নবান থেকে আপনাদের রক্ষা করার জন্য, এই পোস্টে দিলাম, এই প্রশ্নের জবাব: হিন্দুরা মৃতদেহ কেনো আগুনে পোড়ায়, এ নিয়ে মুসলমানদের ছিঃ, ছিক্কারের অভাব নেই। ওদের কথা শুনলে মনে হয়, পৃথিবীতে এর চেয়ে নৃশংস আর কোনো কাজই নেই; এটা করে হিন্দুরা মৃতদেহের সাথে এক মহা অপরাধ করে বা করে চলেছে। এর বিপরীতে, ওরা শোনাবে, আমরা মুসলমানরা, মৃতদেহকে আতর-সুগন্ধি মাখিয়ে, কত আদর যত্নে কবর দিই। এসবের জবাব একটাই হতে পারে, আর তা হলো, মৃতদেহকে যখন এতই আদর যত্ন করেন, তখন তা কবর না দিয়ে ঘরে রেখে দিলেই তো পারেন; তারপর দেখবেন, ২৪ ঘণ্টা পর, আপনার আতর-সুগন্ধি মাখা...

বধূ সম্পর্কে পবিত্র বেদ কি বলে?

Image
সকল নারীদের পড়া উচিত ও পালন করা উচিত। ওঁ সুমঙ্গলী প্রতরণী গৃহাণাং সুশেবাপত্যে শ্বশুরায় শংভূঃ। স্যোনা শ্বশ্র্বৈ প্রগৃহান্ বিশেমান্।। (অথর্ববেদ_১৪ /২/২৬) অনুবাদঃ হে বধূ! কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্দ্ধনকারিনী, পতিসেবা পরায়ণা, শ্বশুরের শান্তিদায়িনী, শাশুড়ির আনন্দদায়িনী! গৃহকার্য্যে নিপুণা হও। ওঁ স্যোনা ভব শ্বশুরেভ্যঃ স্যোনা পত্যে গৃহেভ্যঃ। সোনাহস্যৈ সর্বস্যৈ বিশে স্যোনা পুষ্টায়ৈষাং ভব।। (অথর্ববেদ_১৪/২/২৭) অনুবাদঃ হে বধূ! শ্বশুরদের প্রতি, পতির প্রতি, গৃহের প্রতি এবং এই সব প্রজাদের প্রতি সুখদায়িনী হও। ইহাদের পুষ্টির জন্য মঙ্গলদায়িনী হও। ওঁ সুমঙ্গলী বিয়ং বধূরিমাং সমেত পশ্যত। সৌভাগ্য মস্যৈ দত্ত্বা দৌর্ভাগ্যৈর্বিপ রেতন।। (অথর্ববেদ_১৪/২/২৮) অনুবাদঃ এই বধূ মঙ্গলময়ী, সকলে মিলিয়া ইহাকে দেখ, ইহাকে সৌভাগ্য দান করিয়া দৌর্ভাগ্য বিদূরিত কর।

সনাতনধর্মে পতি ও পত্নী

Image
অনেকেই দাবি করে সনাতনধর্মে নারীদের যজ্ঞ করার অধিকার দেওয়া হয় না, কিন্তু সে সম্পর্কে বেদ কি বলে আসুন জেনে নিই। তথ্যসন্ত্রাসের উপযুক্ত উত্তর দিয়ে অধর্মীদের মুখ বন্ধ করি। শেয়ার করে অন্য জানার সুযোগ করে দিই। প্রতব প্রাশ ব্যাঁ ইতঃ সম্যঞ্চা বর্হিরাশাতে। নতা বাজেষু বায়তঃ।। ঋগ্বেদ, ৮.৩১.৬ অনুবাদঃ- যে পত্নী ও পতি একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করে তাহারা উভয়েই নানা ভোগ্য পদার্থ উপভোগ করে এবং অন্নের জন্য ইতস্ততঃ ভ্রমণ করে না। যদগ্নে স্যামহং ত্বং, ত্বং বা ঘাস্যা অহম্। স্যুষ্টে সত্যা ইহাশিষঃ।। ঋগ্বেদ, ৮.৪৪.২৩ অনুবাদঃ- হে প্রকাশ স্বরুপ পরমাত্মন্! যখন আমি তুমি হইয়া যাই বা তুমি আমি হইয়া যাও, তখনই এ সংসারে তোমার সব করুণা সার্থক হয়।