“ব্রহ্মা , বিষ্ণু , মহেশ্বর কি আলাদা আলাদা সত্ত্বা” ?
শাস্ত্রমতে পরমেশ্বর ‘পরমব্রহ্ম’ এর তিনটি রূপের একটি হলো ব্রহ্মা, যে রূপের মাধ্যমে ব্রহ্ম সৃষ্টিকার্য সমাধান করে থাকে। খেয়াল করবেন, ব্রহ্মা কিন্তু কোনো আলাদা সত্ত্বা নয়, পরমব্রহ্ম এর ই আলাদা একটি রূপ, যেমন ব্রহ্মের অপর রূপ বিষ্ণু ও শিব। ব্রহ্ম যখন যেরূপে তার কাজ করেন, তাকে তখন সেই রূপের নামে আমরা ডাকি; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব আলাদা কেউ নন, তারা একই ব্রহ্মের আলাদা আলাদা তিনটি রূপ। যেমন প্রধানমন্ত্রীর হাতে যদি তিনটি মন্ত্রণালয় থাকে, তখন তিনি যে মন্ত্রণালয়ের হয়ে ফাইলে সই করেন, তখন তিনি সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কিন্তু বাস্তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী। ব্রহ্ম এবং ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের ব্যাপারটা ঠিক এরকম।
পরমব্রহ্মের এই ব্রহ্মা রূপের নারী শক্তি হলো সরস্বতী, যাকে আমরা স্থূল বিবেচনায় বলে থাকি ব্রহ্মার স্ত্রী। আসলে ব্রহ্মার স্ত্রী বলে কিছু নেই। প্রকৃতির নিয়মে যেমন পুরুষ ও নারীর মিলন ছাড়া কিছু সৃষ্টি হয় না, তাই সেই নিয়মকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ব্রহ্মার নারী শক্তি হিসেবে সরস্বতীকে কল্পনা করা হয়েছে, আর যেহেতু সৃষ্টি করতে লাগে জ্ঞান, তাই সরস্বতীকে কল্পনা করা হয়েছে জ্ঞানের দেবী হিসেবে। অর্থাৎ ব্রহ্মা তার নারীশক্তি- জ্ঞানরূপ সরস্বতীর মাধ্যমে তার সকল সৃষ্টি কার্য সমাধান করে থাকে।
পরমব্রহ্মের এই ব্রহ্মা রূপের নারী শক্তি হলো সরস্বতী, যাকে আমরা স্থূল বিবেচনায় বলে থাকি ব্রহ্মার স্ত্রী। আসলে ব্রহ্মার স্ত্রী বলে কিছু নেই। প্রকৃতির নিয়মে যেমন পুরুষ ও নারীর মিলন ছাড়া কিছু সৃষ্টি হয় না, তাই সেই নিয়মকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ব্রহ্মার নারী শক্তি হিসেবে সরস্বতীকে কল্পনা করা হয়েছে, আর যেহেতু সৃষ্টি করতে লাগে জ্ঞান, তাই সরস্বতীকে কল্পনা করা হয়েছে জ্ঞানের দেবী হিসেবে। অর্থাৎ ব্রহ্মা তার নারীশক্তি- জ্ঞানরূপ সরস্বতীর মাধ্যমে তার সকল সৃষ্টি কার্য সমাধান করে থাকে।
Comments
Post a Comment