মহাদেবের সংক্ষিপ্ত পরিচয়
দেবাদিদেব মহাদেব ত্রিদেবতার অন্যতম। ব্রহ্মা সৃজনকর্তা, বিষ্ণু পালনকর্তা ও মহাদেব সংহারকর্তা রূপে সাধারণত কীর্তিত। মহাদেবের অন্য নাম রুদ্র বা মহাকাল, কারণ তিনি সংহারক, কিন্তু এই সংহার হতেই তার 'অভ্যুদয়' হয়। সে জন্য শিব বা শঙ্কর নামে তিনি জননশক্তি। যা ধ্বংস হয়েছে, তা পুনর্বার জন্মেছে,সৃষ্টির রক্ষক হিসেবে তার প্রতীক লিঙ্গ অর্থাৎ প্রজননের চিহ্ন। এই প্রতীকের সঙ্গে যোনি অর্থাৎ স্ত্রী শক্তি সংযুক্ত হয়ে তিনি সর্বত্র পূজিত হন। মহাযোগীর বেশে তিনি দিগম্বর ধূর্জটি। তার দেহ ভস্মাবৃত ও মস্তক জটাজুটধারী।তার বর্ণনায় বলা হয়,তার ললাটে ত্রিনয়ন,তার ওপর অর্ধচন্দ্র, পরিধানে রুধিরাক্ত ব্যাঘ্রচর্ম, গলদেশে সর্পের উপবীত।তার প্রধান অস্ত্র ত্রিশূল,তার ধনুকের নাম পিনাক,তাই তাকে পিনাকী নামেও অভিহিত করা হয়।বাহন নন্দি সর্বদা তার সহচর। অতি সহজে তপস্যায় তুষ্ট য়ে তিনি ঈপ্সিত বর প্রদান করেন,তাই তার এক নাম অাশুতোষ।কেবলমাত্র বিল্বপত্রেই তিনি তুষ্ট থাকেন।তিনি ভূতেশ্বর বা ভূতনাথরুপে সকল ভূতের অধিপতি। তিনি নৃত্যকলার উদ্ভাবক তাই তিনি নটরাজ।মানুষের নিয়ত মঙ্গল কামনা করে অাধ্যাত্নিক কর্মের দ্বারা তাদের উন্নীত করেন,তাই তিনি শিব। পশুদের অধিপতি ও পালনকর্তা বলে তিনি পশুপতি।সমুদ্রমন্থনের সময় কন্ঠে হলাহল ধারণ করেছিলেন তাই তিনি নীলকন্ঠ। কৈলাস তার অাবাসভূমি তাই তিনি কৈলাসপতি।
হর হর মহাদেব
ReplyDelete